এই সময় কেন পেয়ারা খাবেন?
বারো মাস পাওয়া যায় এমন ফল পেয়ারা। শরীর সুস্থ রাখতে পেয়ারার কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। পেয়ারায় থাকা ভিটামিন সি, লাইকোপেন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত শরীরের প্রতিটি অংশকে সুস্থ এবং সুন্দর রাখতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। সেই সঙ্গে এতে থাকা ম্যাগনেসিয়াম, শরীর যাতে খাবারে উপস্থিত নানাবিধ পুষ্টিকর উপাদান ঠিক মতো গ্রহণ করতে পারে, সেদিকেও খেয়াল রাখে।
চলুন জেনে নিই পেয়ারা খেলে কী উপকার পাবেন-
- পেয়ারায় থাকা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট, শরীরে প্রবেশ করা মাত্র ক্ষতিকর জীবাণুদের মারতে শুরু করে। ফলে কোনো ধরনের সংক্রমণের আশঙ্কা কমে যায়। সেই সঙ্গে শরীরে উপস্থিত সমস্ত ধরনের বিষাক্ত উপাদানও বেরিয়ে যায়। ফলে নিমেষে শরীর চাঙ্গা হয়ে ওঠে। সেই সঙ্গে আয়ুও বাড়ে চোখে পরার মতো।
- প্রতিদিন অন্তত একটা করে পেয়ারা খাওয়া শুরু করলে দেহে পটাশিয়ামের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, যার প্রভাবে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে চলে আসতে সময় লাগে না।
- প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন এ থাকার কারণে নিয়মিত পেয়ারা খেলে দৃষ্টিশক্তির মারাত্মক উন্নতি ঘটে। সেই সঙ্গে ছানি, ম্যাকুলার ডিজেনারেশন এবং গ্লকোমার মতো রোগও দূরে থাকে।
- পেয়ারায় থাকা লাইকোপেন, কুয়েরসেটিন, ভিটামিন সি এবং পলিফেনল শরীরে জমতে থাকা ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানদের বার করে দেয়। ফলে ক্যান্সার সেল জন্ম নেওয়ার আশঙ্কা অনেক কমে যায়।
- পেয়ারায় রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন সি, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধী ব্যবস্থাকে মজবুত করে তোলে। ছোট-বড় কোনও ধরনের রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। নানা ধরনের সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচাতেও ভিটামিন সি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
- শরীরে ফাইবারের মাত্রা বাড়তে থাকলে পেটের রোগ যেমন কমে, তেমনি কনস্টিপেশনের মতো সমস্যাও দূরে পালায়। আর ফলের দুনিয়ায় পেয়ারায় মধ্যেই রয়েছে সবথেকে বেশি মাত্রায় ফাইবার।
- পেয়ারায় উপস্থিত ভিটামিন বি৩ এবং বি৬ মস্তিষ্কে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্তের সরবরাহ বাড়িয়ে দেয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ব্রেনের কগনেটিভ ফাংশন, অর্থাৎ স্মৃতিশক্তি, বুদ্ধি এবং মনোযোগের উন্নতি ঘটে।
সূত্র- ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
আরও পড়ুন:
জিএ
মন্তব্য করুন
যেসব লক্ষণে বুঝবেন জরায়ুতে টিউমার আছে কি না
বর্তমানে বহু নারী জরায়ু ফাইব্রয়েড বা ক্যানসারবিহীন টিউমার এবং এই সংক্রান্ত বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন। জরায়ুর কোষের অতিরিক্ত বৃদ্ধির জন্য এই রোগের সৃষ্টি। ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরন হরমোনের পরিমাণের তারতম্য এই রোগের অন্যতম কারণ হিসাবে ধরা হয়। আগে এই রোগের খবর তেমনটা শোনা যেত না। তবে এখন সচেতনতাও বেড়েছে নারীঘটিত নানারকম রোগের। সেক্ষেত্রে বলতে হয়, জরায়ুতে টিউমার হলে আগেভাগে বুঝতে পারলে চিকিৎসা সহজ হয়ে যায়।
এ রোগের লক্ষণগুলো জানা জরুরি:
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পারিবারিক ইতিহাস থাকলে এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এই রোগের অন্যান্য ঝুঁকির কারণগুলো বা রিস্ক ফ্যাক্টর হলো স্থূলতা বা ওবেসিটি, কম বয়সে প্রথম মাসিক শুরু হওয়া, ভিটামিন ডি-র অভাব এবং যাদের মধ্যে এখনও গর্ভাবস্থার কোনও ঘটনা ঘটেনি। জরায়ুর মসৃণ কোষের অতিরিক্ত বৃদ্ধির কারণে টিউমার বা ফাইব্রয়েড তৈরি হয়। ডিম্বাশয়ে উৎপন্ন সংবেদনশীল হরমোন ইস্ট্রোজেনের জন্য এটা হয়ে থাকে। শরীরে ইস্ট্রোজেনের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে টিউমারের আকার বেড়ে যায়। সাধারণত গর্ভকালে ইস্ট্রোজেন বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। দেহে এর মাত্রা কমে গেলে টিউমারের আকারও সংকুচিত বা ছোট হয়। যেমন মেনোপজের পর ইস্ট্রোজেনের পরিমাণ কমে যায়।
লক্ষণ ও উপসর্গ:
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রোগীর বাইরে থেকে কোনও লক্ষণ থাকে না। অন্য কোনও কারণে পেটের আল্ট্রাসাউন্ড পরীক্ষায় ধরা পড়ে। কখনও কখনও লক্ষণ ও উপসর্গ দেখা যায়, তবে তা নির্ভর করে টিউমারের সাইজ, সংখ্যা ও অবস্থানের ওপর।
সেগুলো হলো–
মাসিকের সময় অতিরিক্ত রক্তস্রাব
স্বাভাবিকের চেয়ে দীর্ঘস্থায়ী মাসিক বা সাতদিনের বেশি, সঙ্গে তলপেটে যন্ত্রণা
তলপেটে ফোলা অনুভূতি
কোমর ব্যথা বা কোমর, তলপেট সংলগ্ন (পেলভিক এরিয়া) স্থানে চাপবোধ
কোষ্ঠকাঠিন্য
ঘনঘন প্রস্রাব করার ইচ্ছা
গর্ভধারণে অক্ষমতা বা বন্ধ্যত্ব
অতিরিক্ত রক্তস্রাবের জন্য রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়া এবং তৎজনিত শারীরিক সমস্যা যেমন অতিরিক্ত দুর্বলতা, ঝিমুনি, সিঁড়ি ভাঙতে কষ্ট ইত্যাদি
এই সমস্ত লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শে প্রয়োজনীয় পরীক্ষার মাধ্যমে রোগের কারণ নির্ণয় করা খুবই জরুরি। যারা রক্তাল্পতায় ভোগেন তাদের চিকিৎসার সঙ্গে সঙ্গে আয়রন সমৃদ্ধ খাবার যেমন– কাঁচাকলা, থোড়, পালংশাক, মোচা, ডিম, মাংস, মাংসের মেটে, ছোলা, ছোলার ছাতু, খেজুর, আখের গুড়, প্রভৃতি খাওয়া আবশ্যক। রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে রক্তাল্পতার পরিমাপ করাও প্রয়োজন।
ফেস সিরাম ব্যবহারের আগে যা জানা জরুরি
ত্বক ভালো রাখতে, উজ্জ্বলতা বাড়াতে কে না চায়। আর এই সৌন্দর্যের মূল বিষয় লুকিয়ে আছে সুস্থতা এবং নিয়মমাফিক জীবনযাপনে। ত্বক ভালো রাখতে নিয়মমাফিক চর্চার বিকল্প কিছু নেই। প্রতিদিনের কর্মব্যস্ততা শেষে নিয়ম করে ত্বকের একটু যত্ন নিলেই ত্বক হয়ে উঠবে উজ্জ্বল, মসৃণ। আর এই ত্বকের যত্নে নারীদের প্রসাধনীর তালিকার প্রথম পছন্দে রয়েছে ফেস সিরাম। আর তাই তো বিউটি ওয়ার্লডেও এর জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। কিন্তু অনেকে এর সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে না জেনেই মুখে মাখান, যা হিতে বিপরীতও হতে পারে। তাই তো এখন প্রশ্ন হলো, ঠিকঠাক উপকার পেতে সপ্তাহে কতদিন কিভাবে ফেস সিরাম মাখানো প্রয়োজন। সেই সঙ্গে ফেস সিরামের সঠিক ব্যবহার এবং উপকারিতার কথাও জেনে নেওয়া উচিত।
ফেস সিরাম:
এটি একটি টপিকাল স্কিনকেয়ার প্রোডাক্ট। অর্থাৎ এটি ত্বকের ওপরে ব্যবহার করতে হয়। আর তাতেই সঠিক উপকার পাওয়া যায়। লাইট ওয়েট অয়েল বেসড এই প্রোডাক্টে নানারকম সক্রিয় উপকরণ থাকে, যেগুলো ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে বেশ কার্যকর। যেমন ধরুন ভিটামিন সি, হায়ালুরনিক অ্যাসিড এবং গ্লাইসোলিক অ্যাসিড তো ফেস সিরামে পাওয়া যায়।
ফেস সিরামের উপকারিতা কী কী:
এক একটি ফেস সিরামে এক এক ধরনের উপকরণ থাকে, যা ত্বকের নানা সমস্যাকে সমাধান করতে পারে। যেমন কোনও ফেস সিরাম ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে তো অন্যটি আবার ত্বকের বলিরেখা উধাও করে। এছাড়া ত্বকের কালচে ছোপ কমানো, অ্যাকনের সমস্যার সমাধান এবং কোলাজেনের উৎপাদন বাড়িয়ে দিতেও কোনও কোনও সিরামের জুড়ি মেলা ভার।
ফেস সিরামের খুঁটিনাটি-
অনেক বিশেষজ্ঞের মতে, গ্রীষ্মকালে ফেস সিরাম দিনের বেলায় না ব্যবহার করাই উচিত। তাতে নাকি ত্বকের হিতে বিপরীত হতে পারে। যদিও অনেক বিশেষজ্ঞ এই মতের বিপক্ষে। তাই তারা দিনে দুবার ফেস সিরাম ব্যবহারের পরামর্শ দেন। তবে এই কথাও ঠিক যে, ভিটামিন সি সমৃদ্ধ কোনও প্রোডাক্ট মেখে রোদে না বেরনোই ভালো। তাতে কিন্তু ত্বকের ক্ষতি হলেও হতে পারে।
সঠিকভাবে ব্যবহারের নিয়ম-
প্রথমে মুখ পরিষ্কার করে নিন।
এরপরে কটন প্যাডে পরিমাণ মতো টোনার নিয়ে ত্বকে লাগান।
কয়েক ফোঁটা সিরাম ড্রপারের সাহায্যে মুখে লাগান।
তারপরে হাতের সাহায্যে ড্যাব করুন।
শেষে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন।
ফেস সিরাম ব্যবহার করে সঠিক উপকার পাওয়ার জন্যে নিয়মিত তা মুখে লাগানো জরুরি। প্রতিদিন দিনে একবার বা দুবার করে ফেস সিরাম লাগাতেই হবে আপনাকে। তাই সঠিক উপকার পেতে সপ্তাহে অন্তত ৫ দিন (যদি প্রতিদিন না ব্যবহার করতে পারেন) এই ফেস সিরাম মুখে লাগাতেই হবে।
বিয়ের জন্য মৃত পাত্রের আত্মা চেয়ে বিজ্ঞাপন!
তিরিশ বছর আগে মেয়ের মৃত্যু হয়েছিল৷ মৃত সেই মেয়ের বিয়ে দিতে সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়েছে পরিবার৷ মেয়ের আত্মার জন্য উপযুক্ত জামাই আত্মার খোঁজ করা হয়েছে বিজ্ঞাপনে৷ এই ঘটনা বিশ্বাস করতে পারছেন না অনেকেই, আবার অনেকেই হেসে কুল পাচ্ছেন না। আর ভীতদের শিড়দ্বারা দিয়ে বইছে ঠান্ডা স্রোত। ব্যাপারটা আসলে কী? চলুন জেনে নেই আসল রহস্য।
পাত্র চাইয়ের চমকে দেওয়া বিজ্ঞাপনের ঘটনা ভারতের কর্ণাটকের দক্ষিণ কন্নড় জেলার পুত্তুড়ের৷ আত্মার বিয়ে দেওয়া ওই অঞ্চলের বাসিন্দাদের একটি ধর্মীয় রীতি। এই প্রথাকে স্থানীয়রা বলে থাকেন ‘কুলে মাদিমে’ অথবা ‘প্রেত মাদুভে’৷ সপ্তাহ খানেক আগে সংবাদপত্রে ব্যতিক্রমী বিজ্ঞাপনটি প্রকাশিত হয়। যেখানে বর্ণ, গোত্রের উল্লেখ করে মৃত মেয়ের জন্য পাত্রের আত্মার খোঁজ করা হয়েছে। এমন পাত্রের দাবি করা হয়, যিনিও তিরিশ বছর আগে প্রয়াত হয়েছেন।
তিরিশ বছর আগে মৃত পাত্রীর বাড়ির লোক জানান, বিজ্ঞাপন দেখে কমপক্ষে পঞ্চাশ জন তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। আগ্রহীদের মধ্যে থেকে কোনও পাত্রকে পছন্দ হলেই রীতি পালনের জন্য দিনক্ষণ চূড়ান্ত করা হবে৷ পাত্রীর পরিবারের এক সদস্য বলেন, আমরা ভেবেছিলাম হয়তো বিষয়টি নিয়ে অনেকে ঠাট্টা করবেন৷ যদিও তেমনটা ঘটেনি। এমনকী অনেকেই এই বিশেষ রীতিটি সম্পর্ক জানতে চেয়ে ফোন করেছেন।
‘কুলে মাদিমে’ অথবা ‘প্রেত মাদুভে’ রীতির উদ্দেশ্য হলো অবিবাহিত অবস্থায় মৃত পরিবারের সদস্যদের অপূর্ণ ইচ্ছেপূরণ। পছন্দের পাত্র পেয়ে গেলে জীবিতদের মতো সব নিয়ম মেনেই নাকি বিয়ে দেওয়া হয়।
স্থানীয়রা মনে করেন, মৃতের বিয়ে দিলে জীবিতদের বিয়ের বাঁধাও দূর হয়। এই ধর্মীয় রীতি বাস্তবেই গল্প-উপন্যাস, এমনকী সিনেমার স্ক্রিপ্টকে হার মানায়।
ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখবে যে বাদাম
আমন্ডের মতো পুষ্টিকর বাদামের জয় জয়কার সর্বত্র। কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা থেকে শুরু করে হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে আমন্ড। কিন্তু আমন্ড খেলে ত্বকের ওপর কী প্রভাব পড়ে জানেন। স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ত্বক গঠনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে আমন্ড। এই বাদামের মধ্যে প্রয়োজনীয় ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে।
জেনে নিন আমন্ডের আরও গুণাগুণ-
আমন্ডের মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, ত্বককে ফ্রি র্যাডিকেলের হাত থেকে রক্ষা করে। ত্বকের ভিতরে জমে থাকা টক্সিন বের করে দেয়। এতে ত্বকের সমস্যা কমে এবং উজ্জ্বলতা বাড়ে।
আমন্ডের মধ্যে ভিটামিন ই রয়েছে। এটি ত্বকে কোলাজেন নামের প্রোটিন গঠনে সহায়তা করে। এতে ত্বকে অকাল বার্ধক্যের লক্ষণগুলো সহজেই প্রতিরোধ করা যায়। বলিরেখা, দাগছোপ ত্বকের ধারে কাছে ঘেঁষে না।
আজকাল ত্বকের যত্ন নিতে অনেকেই আমন্ড অয়েল ব্যবহার করেন। এই বাদাম থেকেই তৈরি হয় আমন্ড অয়েল। তবু, মুখে তেল মাখার চেষ্টার থেকে অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর আমন্ড খাওয়া।
যাদের তৈলাক্ত ত্বক, তারা মুখে আমন্ড অয়েল মাখতে পারেন না। কিন্তু আমন্ড খেলে অনেক বেশি উপকার মেলে। ভেজানো আমন্ড খেলে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকে এবং ত্বকের অতিরিক্ত তেলতেলে ভাব থেকে মুক্তি মেলে।
আমন্ডের মধ্যে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট রয়েছে, যা ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে। এছাড়া বাদামে থাকা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ত্বকের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। শুষ্ক ও রুক্ষ ত্বক হোক বা ব্রণ ও একজিমায় ভরা ত্বক, যাবতীয় সমস্যা এক নিমেষে দূর করে আমন্ড।
৬-৮টি আমন্ড সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে ভেজানো আমন্ডের খোসা ছাড়িয়ে নিন। খালি পেটে খান এই ভেজানো আমন্ড। এতে শরীর তো ফিট থাকবেই, তার সঙ্গে ত্বকেও উজ্জ্বলতা ফুটে উঠবে।
বাতের ব্যথা নিয়ন্ত্রণে রাখতে খাবেন যে খাবারগুলো
বয়সের সঙ্গে সঙ্গে অনেকের বাতের ব্যথা দেখা দেয়। এর পেছনে প্রতিদিনের জীবনযাপন কিছুটা হলেও দায়ী। তবে বাতের ব্যথা নিয়ন্ত্রণে রাখাও বেশ সহজ। এর জন্য কিছু শাকের ওপর ভরসা রাখুন। বাতের ব্যথা কমাতে এই শাকগুলো বেশ উপকারী। সহজেই পাওয়া যায়, এই শাকগুলো কমবেশি প্রতিদিন খাবারের তালিকায় থাকলে ব্যথা আর কাবু করতে পারবে না।
বাতের ব্যথায় উপকারী শাকগুলোর নাম জেনেন নিন—
পাট শাক: এই শাক নানা গুণে ভরপুর। লাইকোপেন অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর বলে এটি কোশের ক্ষতি আটকায়। একই সঙ্গে পাট শাক বাতের ব্যথা কমায়। এর ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম উপাদান হাড় মজবুত করে। খেয়াল রাখে জয়েন্টের।
ব্রাহ্মী শাক: পাট শাকের মতোই আরেকটি উপকারী শাক হলো ব্রাহ্মী শাক। অনেকের ধারণা, বুদ্ধির ধার বাড়াতে এই শাক খাওয়া উচিত। কিন্তু এর বাইরেও বেশ কিছু পুষ্টিগুণ রয়েছে ব্রাহ্মী শাকের। যেমন বাতের ব্যথা নিয়ন্ত্রণে রাখে এই শাক।
পালং শাক: প্রথমেই যে শাকের কথা বলা জরুরি, সেটি হল পালং শাক। পালং শাকে কেম্পফেরল নামের একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এই বিশেষ উপাদানটি বাতের ব্যথা থেকে দ্রুত রেহাই দেয়।
শাক ছাড়া আর যে যে সবজিতে উপকার পাবেন—
শাক ছাড়া বাতের ব্যথা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে কয়েকটি সবজি। এগুলি কমবেশি প্রতিদিন নিয়ম করে খেলে আর যন্ত্রণায় ভুগতে হবে না। কী কী সবজি রয়েছে সেই তালিকায় জেনে নিন।
ব্রকলি: প্রদাহনাশী বা অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে ব্রকলির মধ্যেও। সালফোরাফেনের মূল উপাদান। এই উপাদানটি প্রদাহ তৈরি করে এমন যৌগগুলোকে নিষ্ক্রিয় করে দেয়। যার জেরে বাতের ব্যথার থেকে অনেকটাই রেহাই পাওয়া যায়।
রসুন: আদার মতোই রান্নার আরেকটি অপরিহার্য উপকরণ হল রসুন। রসুনের মধ্যে রয়েছে ডাইঅ্যালিল ডাইসালফাইডের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান। এটি প্রোইনফ্লেমেটরি সাইটোকাইনের প্রভাবকে নিষ্ক্রিয় করে দেয়। এর ফলে বাতের ব্যথার থেকে সহজে রেহাই মেলে।
আদা: আদা শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। একই সঙ্গে এর মধ্যে শক্তিশালী প্রদাহনাশী বা অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে। জয়েন্টের ব্যথা আদতে ইনফ্লেমেশন। তাই আদা খেলে জয়েন্টের ব্যথা থেকে অনেকটাই রেহাই পাবেন।
প্রতিদিনের জগিংয়ে দূরে থাকবে যেসব শারীরিক সমস্যা
প্রতিদিন সকালে ব্যায়াম অথবা হাঁটাহাঁটি করে আপনি যতটা উপকার পাচ্ছেন তার থেকেও বেশি উপকার পাবেন যদি আপনি জগিং করেন। সাধারণত রাস্তাঘাটে জগিং করা যায় না তাই চেষ্টা করবেন বাড়ির পাশাপাশি যদি কোথাও মাঠ থাকে, তাহলে সেখানে জগিং করতে। তবে চেষ্টা করবেন তাড়াতাড়ি নয় বরং আস্তে আস্তে জগিং করতে। একটানা বেশ অনেকক্ষণ জগিং করলে আপনি বেশ কয়েকটি শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
জেনে নিন নিয়মিত জগিংয়ের উপকারিতা—
হার্ট ভালো থাকে: রোজ ধীরে ধীরে জগিং করলে হৃদস্পন্দন এবং রক্ত সঞ্চালন বেড়ে যায় এবং আপনার হৃদরোগের সমস্যা কমে যায় অনেকাংশে।
ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে: নিয়মিত যদি ধীরগতিতে জগিং করতে পারেন তাহলে আপনার শরীরের অনেকটা ক্যালোরি বার্ন হয়ে যাবে এবং আপনার ওজন থাকবে নিয়ন্ত্রণে।
মানসিক অবসাদ থেকে মুক্তি: রোজ যদি একঘন্টা ধীরে ধীরে জগিং করতে পারেন তাহলে আপনার চারিপাশে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার সময় পাবেন আপনি। এতে মানসিক চাপ কমে এবং শারীরিক সুস্থতা বাড়ে।
পেশী শক্ত হয়: প্রত্যেকদিন ধীরে ধীরে জগিং করলে পেশী উন্নত হয়, ফলে আপনার হাতে পায়ে যদি কোনও ব্যথার সমস্যা থেকে থাকে, তাহলে তা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় খুব সহজে।
ফুসফুসের কার্যকারিতা বাড়ে: প্রত্যেকদিন যদি জগিং করেন তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনার ফুসফুসের কার্যকারিতা বাড়বে এবং পরিবেশ থেকে অতিরিক্ত অক্সিজেন গ্রহণ করতে পারবেন আপনি।
জগিং করার সময় যেসব পদক্ষেপ মাথায় রাখতে হবে—
ওয়ার্ম আপ: আপনার পেশী এবং জয়েন্ট গুলিকে শক্ত করার জন্য হালকা ওয়ার্ম আপ দিয়ে শুরু করুন প্রত্যেক দিনের জগিং।
সঠিক ফর্ম: জগিং করার সময় মাথা সামনের দিকে সোজা রাখুন, কাঁধ হালকা রাখুন এবং আপনার বাহুগুলি রাখুন ৯০ ডিগ্রি কোণে। পায়ের আঙুলের ওপর জোর দিয়ে জগিং করার চেষ্টা করুন।
ধীরগতি দিয়ে শুরু করুন: প্রথমে ধীর গতি দিয়ে শুরু করুন জগিং, আস্তে আস্তে গতি বাড়াবেন। হঠাৎ করে গতি বাড়ানোর চেষ্টা করবেন না।
শারীরিক সমস্যার দিকে নজর রাখুন: দৌড়ানোর সময় যদি কোনও শারীরিক অস্বস্তি হয় অথবা বুকে ব্যথা হয় তাহলে সঙ্গে সঙ্গে কোনও ফাঁকা স্থানে গিয়ে বসে পড়বেন।
শরীরকে হাইড্রেটেড রাখুন: জগিং করার আগে অথবা জগিং করার সময় অল্প অল্প করে জল পান করুন। দীর্ঘ সময় জল পান না করলে শরীর জলশূন্য হয়ে যাবে এবং শরীর ভাবে অসুস্থ।
মাঝেমধ্যে বিশ্রাম করুন: একসঙ্গে অনেকক্ষণ জগিং করবেন না। মাঝে মাঝে শরীরকে বিশ্রাম দিন। একটানা জগিং করলে শরীর ক্লান্ত হয়ে যাবে এবং বেশিক্ষণ জগিং করতে পারবেন না।
ঘুমের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন যেভাবে
চিকিৎসকরা দিনে অন্তত ছয় ঘন্টা ঘুমোনোর কথা বলে থাকেন। কিন্তু নানাবিধ কাজের চাপে শেষ পর্যন্ত অনেকেই ততক্ষণ ঘুমোতে পারেন না। এর ফলে শরীরের নানা সমস্যাও একে একে দেখা দেয়। ঠিকমতো ঘুম না হওয়ার অনেক কারণ রয়েছে। ইনসোমনিয়া নামক রোগে ঘুম আসতে দেরি হয় বা তাড়াতাড়ি ভেঙে যায় বা ঘুম থেকে ওঠার পর সতেজ ভাব অনুভূত হয় না।
পর্যাপ্ত ঘুম না হলে যে সমস্যাগুলো হয়—
স্ট্রেস বেড়ে যায়।
সারাদিন শরীর দু্র্বল ও ক্লান্ত লাগে।
কাজে মনোযোগ করতে অসুবিধা হয়।
ক্রনিক রোগের হার বেড়ে যায়।
রক্তচাপ, সুগার ও হার্টের সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
মেজাজ খারাপ থাকে। এমনকি মনখারাপও বাড়ে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে থাকে।
ওজন বাড়তে থাকে।
মস্তিষ্কের মধ্য়ে স্নায়ুকোশগুলো নষ্ট হয়ে যেতে পারে অতিরিক্ত স্ট্রেসের কারণে।
পর্যাপ্ত ঘুমের উপায়—
রোজ ঘুমোতে যাওয়ার ২-৩ ঘন্টা আগে খাবার খেয়ে নিন। খাওয়া-দাওয়া ও ঘুমের মধ্যে এই দুই-তিন ঘন্টার তফাত রাখতে হবে।
ঘুমোনোর আগে কিছুক্ষণ বই পড়ার অভ্যাস করা জরুরি। অনেকেই বলেন বই পড়তে ইচ্ছে করে না। কিন্তু ঘুমের জন্যই এটি বেশি দরকার।
শোবার ঘর পর্যাপ্ত অন্ধকার রাখতে হবে। ঘর যেন ঠান্ডা হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে।
মদ্যপান ও ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে।
প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় ঘুমোতে যাওয়া জরুরি। ঘুমের সময়ের পরিবর্তন যত কম হয় তত ভালো।
কোন কোন খাবার ঘুমের জন্য উপযোগী—
গরম দুধ: গরম দুধ দীর্ঘদিন ধরেই নিদ্রাল্পতার সুরাহা হিসেবে কাজ করে। দুধের মধ্যে ট্রিপটোফ্যান,ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি ও মেলাটোনিন বেশি থাকে। যা সহজে ঘুম এনে দেয়।
আমন্ড: আমন্ডের মধ্যে মেলোটোনিন হরমোনের পরিমাণ বেশি। এই হরমোনটি আমাদের ঘুম ও জেগে ওঠা নিয়ন্ত্রণ করে।
কাঠবাদাম: কাঠবাদামের মধ্যে মেলাটোনিন, সেরোটোনিন, ম্যাগনেশিয়াম থাকে। এই উপাদানগুলি দ্রুত ঘুম এনে দেয়।
তৈলাক্ত মাছ: তেল বেশি রয়েছে এমন মাছ খেতে পারেন। এই ধরনের মাছ ঘুমের জন্য বেশ উপকারী।